শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, চাহিদার তুলনায় বেশি চিনি আমদানি করার ফলে বিদেশি চিনিতে বাজার ভরা থাকলেও দেশি চিনিকলের গুদামে অনেক চিনি পড়ে থাকে। তাই অপরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ করা হবে। এতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চিনিকল ও আখ চাষিদের সুরক্ষা হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ চিনিকল আখ চাষি ফেডারেশন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার শিল্পের বিকাশে বদ্ধপরিকর। আমদানি পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশি শিল্প বিকাশের উদ্যোগ নেয়া হবে। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোনো শিল্প কারখানা বিক্রি না করে সেগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেবে সরকার।
বৈঠকে শিল্প সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) চেয়ারম্যান মাহমুদউল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ চিনিকল আখ চাষি ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাজাহারুল হক প্রধান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান আলী বাদশা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে চিনি ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পনেরটি চিনিকলে ২০১৩-২০১৪ মাড়াই মৌসুমে আখ চাষিরা এ পর্যন্ত বিক্রিত আখের বিপরীতে প্রায় শত কোটি টাকা পাওনা রয়েছেন। এ টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। প্রয়োজনে তারা আখের পাওনা বাবদ চাষিদের টাকার পরিবর্তে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চিনি বরাদ্দেরও দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।